Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্যোক্তা তৈরির নতুন প্ল্যাটফরম ইনোকিডস

জাওয়াদ বিন সারওয়ার। বয়স ১২ বছর। রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড ফাইভের ছাত্র। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে সে মাসে অন্তত ৬ হাজার টাকা আয় করছে। যা সে বাড়িতে বসেই আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করছে। মুশফিকুল আলম। বয়স ১৪। স্ট্যান্ডার্ড সিক্সের ছাত্র। সেও মাসে অন্তত ৬ হাজার টাকা আয় করছে। নিজের নামে ব্যবসায়িক ফেসবুক পেজও রয়েছে। সেখানে তার করা বিভিন্ন গ্রাফিক্সের ডিজাইনও দৃশ্যমান। এই জাওয়াদ ও মুশফিকরা ইনোকিডসের প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিশু বয়স থেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছে। যা দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ইনোকিডসের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাফিউদ্দীন আহমেদ। তাঁর মতে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খোঁজার চেয়ে তার আগেই তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার এটা একটা নতুন প্লাটফরম। এ আইডিয়া তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে নিয়ে এসেছেন। ইনোকিডসের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০ জন শিশুকে কিডসপ্রেনার শূন্য-১ স্কলারশিপ দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগেই এসব শিশু আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এ কর্মসূচির আওতায় লাইফ স্কিল, সফট স্কিল, টেক স্কিল ও বিজনেস স্কিল শেখানো হয়। যাতে শিশুরা তাদের জীবন, কর্ম, দায়-দায়িত্ব, নৈতিকতা, পারিবারিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং সবশেষ ব্যবসা করার কৌশল ও দক্ষতা অর্জন করতে পারে। প্রথম স্টেপে লাইফ স্কিল অর্থাৎ জীবন সম্পর্কে বোঝানো হয়। এটা শিশুর জীবনযাত্রাকে সহজ করবে। এমনকি নিজের পড়ার টেবিল ও বিছানা গুছিয়ে রাখা, স্কুলের টিফিন তৈরি করে নেওয়াও শেখানো হয়। দ্বিতীয় স্টেপে সফট স্কিল হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়গুলোকে শেখানো হয়। এখানে নীতি, নৈতিকতা এবং পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধাতার বিষয়গুলোও যুক্ত থাকে। তৃতীয় পর্যায়ে টেক স্কিল হিসেবে প্রযুক্তিগত শিক্ষা, যেমন- ইন্টারনেট, সফটওয়্যার ডিজাইনিং, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ে শেখানো হয়। এবং সবশেষে বিজনেস স্কিল হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কৌশল, ব্যবসায় সফল হওয়ার কৌশল বা নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ কর্র্মসূচির আওতায় প্রথম ব্যাচে প্রশিক্ষণ নেওয়া ৫০ জন শিশুকে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়েছে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। শিশুদের আধুনিক পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জন ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলাই ইনোকিডসের মূল লক্ষ্য বলে জানান ড. রাফিউদ্দীন আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *